গ্রিস ও ট্রয়ের উপাখ্যান(Greece O Troyer Upakkhan) আবদার রশীদ(Abdar Rashid) রচিত গ্রন্থ।এখান থেকে বইটি পিডিএফ(PDF) আকারে পড়া ও ডাউনলোড করা যাবে
এশিয়া মাইনরের উত্তরে, সমুদ্র উপকূল থেকে একটু দূরে, ট্রয় নামে এক নগরী অবস্থিত ছিল।সেখানেই গ্রিকদের সাথে ট্রয়িদের প্রচন্ড যুদ্ধ হয়েছিল।
একিলিস, হেক্টর, এবং আরো অনেক বড় বড় বীর সেই যুদ্ধে প্রাণ দিয়ে চিরদিনের জন্য বিখ্যাত হয়ে আছেন। এই উপন্যাস মূলত গ্রিক ও ট্রয়িদের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের বর্ণণা দেওয়া হয়েছে।সেই যুদ্ধের কারণ ও বর্ণণা করা হয়েছে।
এক নারীর জন্যই ট্রয়ের এই ভয়ানক মহাযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। এই নারী হচ্ছে মেনেলাউসের স্ত্রী হেলেন।এছাড়া ও দেবতাদের মধ্যেকার প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং মানুষের নির্বুদ্ধিতা আর উচ্চাকাঙ্ক্ষ ও ছিল তার অন্যান্য কারণ।
হেলেন বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দরী নারী ছিলেন হেলেন,যিনি ছিলেন জিউস ও লিডার কন্যা এবং ক্যাষ্টর ও ক্যাষ্টর ও পোলাক্সের বোন। তার এমনই রূপ-সৌন্দর্য ছিলো যে গ্রিসের প্রতিটি তরুন রাজকুমারই তাকে বিয়ে করতে চাইলো।
শেষমেষ, ওডিসিয়াস এর সুপরামর্শই হেলেন তার নিজ ইচ্ছা মতো কাউকে পছন্দ করলেন।হেলেন আগামেমননের ভাই স্বর্ণকেশী মেনেলাউসকে তার স্বামী হিসাবে পছন্দ করেন।বীরেরা সবাই যার যার দেশে ফিরে যায়।
এরা সকলেই এবং অন্য সমস্ত গ্রিক ও ট্রয়ি এমনি সুখে-স্বচ্ছন্দেই কাল কাটাতে পারত।কিন্তু তিন দেবীর প্রতিদ্বন্দ্বিতা আর বিশ্বাসঘাতক প্যারিস এর জন্য সব কিছু অন্য রকম হয়ে গেল।কিভাবে?সেটা পড়েই বুঝবেন।
প্যারিস প্রায়ামের পুত্র। প্যারিসের জন্মের আগে তার মা হেকুবা স্বপ্ন দেখেছিলেন যে,তিনি সন্তানের জন্ম না দিয়ে একটা জ্বলন্ত মশালের জন্ম দিবেন।ট্রয়ের গণক ও ভভবিষ্যদ্বক্তাদের সাথে আলোচনা করলে সবাই একবাক্য বলেন যে এই শিশু ট্রয় ও তার পরিবার এর ধ্বংসের কারণ হবে।
তাই তারা শিশুটিকে এক রাখালের হাতে দিয়ে বললেন সে যেন ওকে আইডা পর্বতের পাথরের উপর ফেলে আসে।কিন্তু রাখালের শিশুটির জন্য মায়া হল সে নিজে থাকে লালন পালন করল। এক সময় সে ট্রয় নগরীতে ফিরে আসে তার যৌবনের সুন্দর্য দেখে তার বৃদ্ধ পিতা মাতা দৈব বাণীর কথা ভুলে যান।
প্যারিসকে সব রকম সম্মানে ভূষিত করা হল এবং সে একবহর জাহাজসহ গ্রিসের পথে যাত্রা শুরু করল এই যাত্রার কারণ হিসাবে প্যারিস বলেছে তার হেসিওনি যাকে হেরাক্লিস এর লোকেরা নিয়ে গেছে থাকে ফিরিয়ে আনা।
প্যারিস যখন অনুচরদের নিয়ে স্পার্টায় এসে উপস্থিত হল তখন মেনেলাউস ও হেলেন অত্যন্ত আতিথেয়তার সাথে তাদের অভ্যর্থনা জানাল।হেলেন বুঝতে ও পারলেন না যে প্যারিসকে অভ্যর্থনা জানিয়ে তিনি এক অভিশাপকে অভ্যর্থনা জানালেন।
মেনেলাউস যখন ক্রিট থেকে ফিরে গিয়ে দেখলেন হেলেন নেই ; তিনি পুরো গ্রিসের কাছেই সাহায্য প্রার্থনা করলেন। সকল দলপতিই সাড়া দিতে বাধ্য ছিলেন। সবাই সোৎসাহে এগিয়ে এলেন ট্রয়কে ধুলোয় মিশিয়ে দিতে।
কিন্তু শীর্ষস্থানীয় দুজনকে পাওয়া গেলো না; তারা ছিলেন ইথাকা দ্বীপের রাজা ওডিসিয়াস এবং সমুদ্র উপদেবী থেটিসের পুত্র একিলিস কে।
ওডিসিয়াস ছিলেন গ্রিসের অন্যতম বুদ্ধিমান ও দ্বায়িত্বশীল মানুষ। কিন্তু একজন বিশ্বাসভঙ্গকারী নারীর জন্য তিনি নিজ পরিবার ও দেশকে ছেড়ে অন্যদেশে এক যেতে চাইছিলেন না তাই পাগলের ভান করেন।কিন্তু লাভ হয়নি শেষ পর্যন্ত তাকে যেতে হয়েছে।
একিলিসকে আটকে রেখেছিলেন তার মা। উপদেবীটি জানতেন যে একবার ট্রয়ে গেলে তার পরিণতি হবে মৃত্যু।তাকেও শেষ যেতে হয়। একটি বিশাল নৌবহর তৈরি হয়ে উঠলো।
এক হাজার জাহাজ নিয়ে চললো গ্রিক দলটি।গ্রিকদের নৌবহর দ্বীপের পর দ্বীপ পার হয়ে যেতে লাগল। সিগেউমে তারা জাহাজ নোঙর করল।নোঙর করার একটু পরই তাদের জাহাজের দিকে লক্ষ্য করে ট্রয়ি সৈন্যরা তীরবৃষ্টি করতে লাগল।
উপকূলীয় যুদ্ধে একিলিসই তার মিরমিডনদের নিয়ে সবচেয়ে বেশি বীরত্ব দেখায়। . #হেক্টর এদিকে তার সৈন্যবাহিনী নিয়ে যেখনেই গেছে সেখানেই সে মহাপরাক্রম দেখিয়েছে, এবং তাকেও একিলিসের মতোই অজেয় মনে হচ্ছিল।
বৃদ্ধ প্রায়ম ও ট্রয়িরা তাকেই তাদের শ্রেষ্ঠ রক্ষক ও যোদ্ধা মনে করত। . শেষ পর্যন্ত দেবতারা ও এই যুদ্ধকে উপলক্ষ করে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গেলেন। এই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর হেলেন কি ফিরে যেতে পারবে তার স্বামীর কাছে? নাকি এই মর্মান্তিক যুদ্ধে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে গ্রিস ও ট্রয় নগরী?
গ্রিস ও ট্রয়ের উপাখ্যান -আবদার রশীদ
স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশ(Swadhinata Uttar Bangladesh) পিনাকী ভট্টাচার্য(Pinaki Bhattacharya) এর লেখা একটি বই। এখানে তিনি বাংলাদেশ…
দ্য ট্যাংক ব্যাটল অব শিরোমণি বা শিরোমণি ট্যাঙ্ক যুদ্ধ খুলনার শিরোমণিতে হওয়া একটি যুদ্ধ। ১৬ ডিসেম্বর…
ইসলামী আকীদা(Islami Aqida) ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর(রহি.) রচিত গ্রন্থ। সম্ভবত আমরা অনুভব করছি যে, ঈমানের…
আল-ফিকহুল আকবার ইমাম আবু হানীফা (রহি.) রচিত আকীদার বই। ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহিঃ) এই…
হাদীসের নামে জালিয়াতি ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহি.) রচিত এক অসাধারণ গ্রন্থ। প্রচলিত অনেক বিষয় আমরা…
মরুভাস্কর কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত একটি কাব্যগ্রন্থ। এই গ্রন্থটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৫১ খ্রিষ্টাব্দে। হজরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর জীবনী…
This website uses cookies.