Ami Abong Koakti Projapoti by Humayun Ahmed


আমি এবং কয়েকটি প্রজাপতি
হুমায়ূন আহমেদ

 এটি একটি সাইকো থ্রিলার। গল্পের প্রধান চরিত্র ফখরুদ্দিন চৌধুরী। বইটি উত্তমপুরুষে লেখা। ফখরুদ্দিনের নিজের জবানিতে কাহিনী বর্ণনা করা।পড়ার সময় মনে হয় সে আপনাকেই গল্পটা বলছে। ফখরুদ্দিন সাহেবের বিয়ে নিয়ে একটা ঘটনা আছে। সে তার দূরসম্পর্কের মামার সাথে কনে দেখতে যায়। কনে পছন্দ হওয়াতে সেরাতেই তারা বিয়ের কাজ সমাধা করে রাখে। উল্লেখ্য যে ফখরুদ্দিনের মামা ইফতেখার সাহেব একজন সরকারী কাজি । বিয়ের পরদিন তার স্ত্রী তার সাথে থাকতে রাজি হন না।বিয়ে ভেঙ্গে দিতে সে কান্নাকাটি শুরু করে। এই ঘটনায় ফখরুদ্দিন বিয়ে ভেঙ্গে দেয়। এই ঘটনার বেশ কিছুদিন পর তার সাবেক স্ত্রীর ছোট বোনের সাথে আনুষ্ঠানিক ভাবে তার বিয়ে হয়।তার স্ত্রী রুপা বিয়ের কদিনের মাথায় মনে করে তার স্বামী মানসিক রুগী। সে ভুলিয়ে ভালিয়ে তাকে একজন সাইক্রিয়াটিস্ট এর কাছেও নিয়ে যায়। অবশ্য রুপার ওকে মানসিকভাবে অসুস্থ ভাবার অনেক কারন আছে। তারমধ্যে থেকে দুইটা ঘটনা বলি। ১. ফখরুদ্দিন সাহেবের একটা বদভ্যাশ হচ্ছে রাতে ঘুম ভেঙ্গে গেলে ছাদে শুয়ে থাকা। একদিন বৃষ্টির সময় রুপার ঘুম ভেঙ্গে গেলে সে ছাদে গিয়ে দেখে ফখরুদ্দিন বৃষ্টির মধ্যেই শুয়ে আছে। ছাদে পানি জমে গেছে, সে তার মধ্যেই শুয়ে আছে। ২. ফখরুদ্দিন একবার এক্সপেরিমেন্টের জন্য ১০ ব্যাগ রক্ত নিয়ে আসে। সে রক্ত সে পেয়ারা গাছের গুঁড়িতে দিয়ে দেখতে চাচ্ছে ফলাফল কি হয়। এই দুইটা ঘটনাই ফখরুদ্দিন কে মানসিক রুগী ভাবতে যথেষ্ট।আরও নানান ঘটনা আছে। ফখরুদ্দিন দুইটা খুন করে ঠান্ডা মাথায়। অবশ্য সে ফিজিক্যালি খুন টা করেনা। সাইকোলজিক্যাল ভাবে খুন করে। অবশ্য এগুলাও তার এক্সপেরিমেন্টের অংশ। ব্যক্তিগত মতামতঃ বিদেশে এরকম একটা সাইকো থ্রিলার বেরুলে হইচই পড়ে যেত। অথচ এই বই নিয়ে আমি কোনও হইচই দেখিনি। আমার কাছে যথেষ্ট ভালো লেগেছে। যারা সাইকো থ্রিলার পছন্দ করেন তাদের ভালো লাগবে আশা করি।

Leave a Reply